মুখ‍্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মিষ্টির দোকান খুললেও দেখা মিললো না ক্রেতাদের , হতাশ ব‍্যবসায়ীরা

31st March 2020 হুগলী
মুখ‍্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মিষ্টির দোকান খুললেও দেখা মিললো না ক্রেতাদের , হতাশ ব‍্যবসায়ীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মিষ্টির দোকান খোলা হলেও দেখা মিললো না ক্রেতাদের । গতকাল প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হয়  বেলা ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত দোকান খুললে  পারবে। দোকান খোলা থাকলেও দেখা মেলেনি শহর অঞ্চলের ক্রেতাদের।  ভরা দুপুরে লকডাউনের জেরে বন্দী শহরবাসী কাউকে দেখা গেলো না মিষ্টি কিনতে দোকান মুখী হতে । গত কয়েকদিন ধরে লকডাউনের  জেরে জেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের দুধ ব্যবসায়ীরা দুধ- ছানা ফেলে দিয়েছেন । তাদের এই দুর্দশার করুন চিত্র মুখ্যমন্ত্রী নজরে আসতেই মঙ্গলবার থেকে চার ঘন্টা দোকান খোলার নির্দেশ।  আশায় বুক বেঁধে গতকাল রাত থেকে মিষ্টি প্রস্তুতকারীরা বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরি করেছেন। দুর্ভাগ্য সেই অনুযায়ী ক্রেতা না পাওয়ার চিন্তার ভাঁজ কপালে।  রসগোল্লা, সন্দেশ, চমচম,  দোকানে  সাজানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা  যায়।  ব্যবসায়ীদের অভিযোগ একদিকে পুলিশের ধরপাকড়ের পাশাপাশি গরম কে উপেক্ষা করে ভরদুপুরে কোন মিষ্টি পিপাসু ক্রেতারা  দোকানে আসতে চাইছে না।  ফলে যে পরিমাণ খরচ করে দুধ ও ছানা কিনে মিষ্টি তৈরি করতে হয়েছে তা দোকানের সাজিয়ে রাখা ছাড়া আর কিছু করার নেই।  অপরদিকে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে জেলার গ্রাম গঞ্জে  মিষ্টি ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান খুলে বেচাকেনা করেছে বলে অভিযোগ ।  লকডাউনের  জেলার সিঙ্গুর, ডানকুনি শেওড়াফুলি, ব্যান্ডেল, তারকেশ্বর, চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর, এলাকায় দুধ এবং ছানা ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছিল।  তারপর নতুন করে সমস্যা তৈরি করলো বিক্রি না হওয়ায় মিষ্টি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।