নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মিষ্টির দোকান খোলা হলেও দেখা মিললো না ক্রেতাদের । গতকাল প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হয় বেলা ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত দোকান খুললে পারবে। দোকান খোলা থাকলেও দেখা মেলেনি শহর অঞ্চলের ক্রেতাদের। ভরা দুপুরে লকডাউনের জেরে বন্দী শহরবাসী কাউকে দেখা গেলো না মিষ্টি কিনতে দোকান মুখী হতে । গত কয়েকদিন ধরে লকডাউনের জেরে জেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের দুধ ব্যবসায়ীরা দুধ- ছানা ফেলে দিয়েছেন । তাদের এই দুর্দশার করুন চিত্র মুখ্যমন্ত্রী নজরে আসতেই মঙ্গলবার থেকে চার ঘন্টা দোকান খোলার নির্দেশ। আশায় বুক বেঁধে গতকাল রাত থেকে মিষ্টি প্রস্তুতকারীরা বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরি করেছেন। দুর্ভাগ্য সেই অনুযায়ী ক্রেতা না পাওয়ার চিন্তার ভাঁজ কপালে। রসগোল্লা, সন্দেশ, চমচম, দোকানে সাজানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ একদিকে পুলিশের ধরপাকড়ের পাশাপাশি গরম কে উপেক্ষা করে ভরদুপুরে কোন মিষ্টি পিপাসু ক্রেতারা দোকানে আসতে চাইছে না। ফলে যে পরিমাণ খরচ করে দুধ ও ছানা কিনে মিষ্টি তৈরি করতে হয়েছে তা দোকানের সাজিয়ে রাখা ছাড়া আর কিছু করার নেই। অপরদিকে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে জেলার গ্রাম গঞ্জে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান খুলে বেচাকেনা করেছে বলে অভিযোগ । লকডাউনের জেলার সিঙ্গুর, ডানকুনি শেওড়াফুলি, ব্যান্ডেল, তারকেশ্বর, চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর, এলাকায় দুধ এবং ছানা ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছিল। তারপর নতুন করে সমস্যা তৈরি করলো বিক্রি না হওয়ায় মিষ্টি।